Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাবির ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস নিয়ে অসন্তুষ্ট: জরিপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

করোনাভাইরাসের কারণে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস বন্ধ প্রায় ১৬ মাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এখন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু শেষ হওয়া অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অসন্তুষ্ট বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। আর ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ জন্য নেটওয়ার্কের সমস্যা, ডিভাইসের অপর্যাপ্ততা বা ত্রুটি থাকা এবং বাড়ির প্রতিকূল পরিবেশের কথা উল্লেখ করেছেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের করা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ গবেষণা সংসদ শিক্ষার্থীদের গবেষণাকাজে উদ্বুদ্ধ করে। তারা অনলাইনে গত ১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত অনলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করে। এতে বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তরের ৩ হাজার ৭৩০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠ্যসূচি শেষ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল জরিপে। জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ না উত্তর দিয়েছেন। এর মানে তাঁদের মতে, পাঠ্যসূচি এখনো শেষ হয়নি। অনলাইন নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট এমন শিক্ষার্থীর হার প্রায় ২৪ শতাংশ। শেষ হওয়া অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট—কোনো মত দেননি।

৫২ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। ৪৫ শতাংশ ইচ্ছুক নন। বাকিরা এখনো নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অনেকেই অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরীক্ষা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া ওপেন বুক, এমসিকিউ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়ার পক্ষেও মতামত পাওয়া গেছে জরিপে।

জরিপের তথ্য বলছে, বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ডিভাইস বা আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করে সহায়তা পেয়েছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২৬ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও এখনো সহায়তা পাননি। বাকি শিক্ষার্থীরা নিজ থেকেই আবেদন করেননি। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মুঠোফোনের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেন। এ রকম আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে জরিপে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মু. মনজুরুল করিম এ জরিপ মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাটি একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ ছাড়া উপায়ও নেই। তাই এর সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে এটিকে আরও ফলপ্রসূ করতে হবে।