Thank you for trying Sticky AMP!!

তজুমদ্দিনের দুটি সরকারি বিদ্যালয়ে নানা সংকট

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় আছে দুটি। দুটিতেই ১৪টি করে শিক্ষকের পদ আছে। কিন্তু বিদ্যালয়গুলোতে এর অর্ধেকসংখ্যক শিক্ষকও নেই। বিদ্যালয় দুটি হলো চাঁদপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও ফজিলতুন নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
১৯৫২ সালে চাঁদপুর বালক উচ্চবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি হয়। সম্প্রতি তজুমদ্দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গত বছরের মার্চে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনের সংস্কার হয়নি। ভাঙা গাছগুলো কেটে মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে। বাকি দুটো ভবনেও অনেক দিন ঝাড়ু পড়েনি। শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ফাইলপত্র, বিকল কম্পিউটার ও ল্যাবের সরঞ্জাম যত্রতত্র পড়ে আছে। বিজ্ঞানাগারে ধুলা, কয়েকটি পরীক্ষণযন্ত্র ও সরঞ্জাম বাক্সবন্দী।
চাঁদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নামে প্রায় তিন একর জমি ছিল। বর্তমানে ১ একর ১৯ শতাংশ জমির খাজনা পরিশোধ করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাকি জমি কোথায়, তা জানাতে পারেননি শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়ের ৫২৪ জন ছাত্রের জন্য যথেষ্ট বেঞ্চ নেই।
শিক্ষকেরা বলেন, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচজন শিক্ষক আছেন। ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষাসহ নানা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষকও নেই। সহকারী প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি নিজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক। তবে ইংরেজিও পড়ান। তিনি বিদ্যালয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
একই অবস্থা ফজিলতুন নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও সরকারি করা হয় ১৯৮৯ সালে। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন চারজন। বিদ্যালয়টি ৪০ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বেঞ্চ ও শ্রেণিকক্ষের সংকটও রয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার দাস বলেন, এ বিদ্যালয়ে শুধু চারটি বিষয়ের শিক্ষক ছাড়া বাকি সব পদ শূন্য।
২০ জন অভিভাবক বলেন, সরকারের উদাসীনতা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবে এ বিদ্যালয় দুটিতে শিক্ষকের সংকট আছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় দুটির সভাপতি সেলিম উদ্দিন বলেন, তিনি তজুমদ্দিনে শিক্ষক আনার জন্য চেষ্টা করছেন।