Thank you for trying Sticky AMP!!

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা

প্রথম আলো ফাইল ছবি

এ বছর হজ ব্যবস্থাপনার কাজকে সুষ্ঠু, গতিশীল ও সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজিরা বড় ধরনের কোনো ঝামেলা ছাড়াই নির্বিঘ্নে হজ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব হালনাগাদ তথ্য পেয়েছেন হাজিরা। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন হজ করেছেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড প্রাক্‌নিবন্ধন, নিবন্ধন, সৌদিতে মোয়াল্লেম নিয়োগ, বাড়িভাড়া, বিমান টিকিট কেনা, ভিসাসহ সব হালনাগাদ তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হজ এজেন্সির কার্যক্রমকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সক্ষম হয়।

ধর্মমন্ত্রী ও ধর্মসচিব কম্পিউটারের মাউসে বা মোবাইল ফোনের অ্যাপে ক্লিক করেই হালনাগাদ তথ্য জেনে পরবর্তী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দ্রুত দিতে পেরেছেন।


বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ হজ মেডিকেল সেন্টারে অটোমেটিক প্রেসক্রিপশন চালু করা হয়। কিউ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করায় হাজিদের দীর্ঘক্ষণ লাইন ধরতে হয়নি, কিংবা পরে এসে আগে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ ছিল না। সরকারি-বেসরকারি হাজিদের পরিচয়পত্র যন্ত্রে ধরার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসক্রিপশন বেরিয়ে আসে। সরকারি বাড়িতে মনিটরে হালনাগাদ সব কাজ তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া হজ গাইড অ্যাপসের মাধ্যমে অনেক সেবা দেওয়া হয়েছে।

আবদুল গফুর নামের এক হাজি জানান, তিনি এর আগেও হজ করেছেন। এবার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে বেশ কিছু কাজ সহজে করতে পেরেছেন। সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর আগে ডাক্তার দেখাতে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। এবার সে সমস্যা হয়নি। লাইনে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হয়নি।

জানা গেছে, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের হজ ক্যালেন্ডার তৈরি ও তা তদারকি করা, জেলাপর্যায়ে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণে হজযাত্রীরা আগের তুলনায় সচেতন হয়েছেন। প্রাক্‌নিবন্ধনের ফলে প্রায় এক বছর আগেই জানা যাচ্ছে কারা হজে যাবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা ও মক্কার হজ অফিস সমন্বয় করে কার্যক্রম চালানো হয়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি অগ্রবর্তী দল সৌদি আরব যায়। ৩৫-৩৬ জন তিনটি উপদলে বিভক্ত হয়ে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় কাজ শুরু করেন।
সরকারি বা বেসরকারি কোন ফ্লাইটে কতজন যাচ্ছেন, সে তথ্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করা হয়। ফলে নির্বিঘ্নে ফ্লাইট চালু রাখা যায়।

হজের পাঁচ দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতায় মক্কা থেকে মিনা, মিনা থেকে আরাফাহ, আরাফাহ থেকে মুজদালিফা হয়ে মিনায় তাঁবুতে অবস্থানকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পথচলা, অর্থাৎ নির্বিঘ্নে তাঁবু খুঁজে বের করতে মানচিত্র তৈরি করা হয়। হাজিদের তাঁবুতে পৌঁছে দিতে কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবকেরাও।

মক্কা-মদিনা হজ অফিস ঘুরে দেখা যায়, আইটি কর্মকর্তারা হজ–সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। হজের পরে নিখোঁজ হজযাত্রীর সন্ধান, মক্কা থেকে মদিনায় যাতায়াত, ফিরতি ফ্লাইটের হাজিদের আগাম নোটিশ দেওয়া, মৃত হাজির সংখ্যা দেওয়া ইত্যাদি তথ্য নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সামগ্রিক হজের কার্যক্রম তুলে ধরে নিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে।