Thank you for trying Sticky AMP!!

তরুণদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখাতে হবে

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। পাশে শাহীন আনাম। ছবি: প্রথম আলো

সহিংস উগ্রবাদ একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। কোনো একটি নিক্তি দিয়ে এর ব্যাপ্তির পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এটি প্রতিরোধেও একক কোনো সমাধান নেই। পরিবারসহ রাষ্ট্রের সব অনুষঙ্গকেই এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে।

গতকাল রোববার প্রথম আলো আয়োজিত ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সামাজিক সম্প্রীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকের সহযোগিতায় ছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও কিশোর আলো। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। আলোচকেরা বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে অন্যের মতামতকে মূল্য দেওয়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সহায়ক বিষয়গুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং তারাই পারে সম্প্রীতির বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, তরুণদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখানো গেলে তারা সব ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকবে। একটা সময় ধারণা ছিল, যারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তারাই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু তা না। এটা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের এই পথে নিয়ে আসা হচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে রাষ্ট্র হার্ড অপশন যতটা খরচ করেছে, সফট অপশনের ক্ষেত্রে তার কিয়দংশও করছে না। ডিরেডিক্যালাইজেশনের কোনো উদ্যোগ এখানে নেই। কয়েক শ জঙ্গি জেলে আছে। তারা সেখানে থেকে আরও রেডিক্যালাইজ হচ্ছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে অন্যায্যভাবে আমরা তরুণদের কথা ভাবছি। অথচ তরুণেরা এখানে ভুক্তভোগী। যারা এটা সৃষ্টি করছে তারা কেউ তরুণ না।’

ইউএনডিপির প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল বিন মজিদ বলেন, ‘উগ্রবাদের দিকে যারা ঝুঁকছে, তাদের কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিরোধের জায়গাটি এখনো শক্তিশালী।’

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফুন নেসা বলেন, ‘সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে। আমাদের ভালো দিক বেছে নিতে শিখতে হবে।’