Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি জাবির আন্দোলনকারীদের

উপাচার্যের অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগামী বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ৩ ডিসেম্বর উপাচার্যের ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ জনসমক্ষে প্রকাশের কথা বলেছেন তাঁরা। 

আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো, ৫ নভেম্বর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও উপাচার্যকে অপসারণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ফারজানা ইসলামের দুর্নীতি, মামলাবাজি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর আন্দোলনের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎসাহস না থাকায় অপূর্ণাঙ্গ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন।’
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসছাড়া করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম সচল রয়েছে, এর মধ্যেই ঘটেছে বেশ কয়েকটি নিয়োগের ঘটনা। এ ছাড়া প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ভর্তির জন্য নবীন এই শিক্ষার্থীরা সাধারণত হলে অবস্থান করেই ভর্তি-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। ফলে হল বন্ধ করে ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু করলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের ওপর অশেষ ভোগান্তি নেমে আসবে। যার অধিকার উপাচার্যের নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘হামলার নির্দেশদাতা উপাচার্যকে অপসারণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলাকারীদের বিচার করতে হবে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হল ভ্যাকেন্টের অবৈধ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার ও তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আওলাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘হল খোলার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের আওতাধীন। তাই কবে হল খোলা হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা কোনো আইনকানুন না মেনেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এটা একধরনের উসকানি ও ফাঁদ। প্রশাসন তাদের পাতা ফাঁদে পা দেবে না। তদন্তের জন্য সরকারের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত।’