Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আপন বোন, অন্যজন তাদের চাচাতো বোন। ঘটনার পৌনে এক ঘণ্টা পর স্বজনেরা তাদের লাশ উদ্ধার করেন। ওই দিনই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।

নিহত তিন বোন হলো জান্নাতুন নেসা, ইসরাত জাহান ও সুমাইয়া আক্তার। এদের মধ্যে প্রথম দুজন আপন বোন। আর শেষের জন তাদের চাচাতো বোন। জান্নাতুন ও ইসরাতের বাবার নাম শহীদুল ইসলাম। আর সুমাইয়ার বাবার নাম জিল্লুর রহমান। তাদের বাড়ি উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামে।

জান্নাতুন নেসা মীরগঞ্জ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। ছোট বোন ইসরাত জাহান মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। সুমাইয়া মীরগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। জান্নাতুন নেসার ভাই সাদেকুল ইসলাম জানান, এরা কেউ ভালো সাঁতার জানত না। তার পরও তারা পদ্মা নদীর সুফিয়ানের ঘাটে গোসল করতে যায়। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাতুল (১২) ও শাওন (১১) নামের দুই শিশু পানিতে নেমে দুই শিশুকে বাঁচিয়েছে। রাতুল জান্নাতুন নেসার চাচাতো ভাই আর শাওন প্রতিবেশী। রাতুল জানায়, তারা আম খেতে খেতে নদীতে গোসল করতে যাচ্ছিল। তারা যাওয়ার আগেই সুমাইয়া ও ইসরাত পানিতে তলিয়ে গেছে। জান্নাতুন নেসা, রিয়া ও ইনু নামের তিনজন পানিতে হাবুডুবু খেতে দেখে। তারা নদীতে লাফ দিয়ে পানি থেকে রিয়া ও ইনুকে টেনে তুলেছে। জান্নাতুন নেসার হাত ধরে টেনের তোলার চেষ্টা করেও পারেনি। দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে খবর দিয়েছে। রাতুল ও শাওন সাঁতার জানে।
রিয়ার বাবার নাম সুমন ও ইনুর বাবার নাম মিলন। বেঁচে যাওয়া ইনু মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।