Thank you for trying Sticky AMP!!

তিস্তার পানি আবার বিপৎসীমার ওপরে

নীলফামারী

নীলফামারী জেলায় তৃতীয় দফায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর দুপুর ১২টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সোমবারও সেখানে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

তিস্তার পানি বাড়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত ১৫টি চরাঞ্চলীয় গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ তৃতীয় দফায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ২০ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। আজ দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ৭৪ মিটারে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

১০ জুলাই থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। ১৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৪ দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১২ জুলাই ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠলে তিস্তা ব্যারাজ ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে পাউবো। পরের দিন ১৩ জুলাই সকালে পানি কিছুটা কমলে রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করা হয়।

১৪ জুলাই সেখানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এর আগে গত ২৬ জুন তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ২৮ জুন পর্যন্ত টানা তিন দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ২৯ জুন বিপৎসীমার নিচে নামে। ৪ জুলাই সকালে আবারও পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে।