Thank you for trying Sticky AMP!!

তিস্তায় পানি বেড়েছে, নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

তিস্তা ব্যারাজ

উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নীলফামারী জেলায় তিস্তার পানি বেড়েছে। আর এর ফলে আজ বুধবার জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সেখানে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ও শৌলমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত প্রায় ১৫টি চরাঞ্চলের ১০ হাজারের বেশি পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখে নজরদারি করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত সোমবার রাত নয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমা বরাবর (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) প্রবাহিত হয়। গতকাল সেখানে পানি কমে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে। এক দিনের ব্যবধানে আজ দুপুর ১২টায় সেখানে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে ১১ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৩ জুলাই বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে বিপৎসীমা বরাবরে পানি প্রবাহিত হলেও ১৬ জুলাই থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লোকজন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। বারবার বাড়িতে পানি ওঠানামা করায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানে (ভারত) প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর ১২টায় পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রেখে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’