Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই সন্তানকে স্কুল থেকে বহিষ্কার

মাঠ নিয়ে অভিভাবকের সঙ্গে তর্কের জেরে বাড্ডার স্যার জন উইলসন স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই শিক্ষার্থীর একজন অষ্টম শ্রেণিতে এবং অন্যজন প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই অভিভাবকের নাম মিনহাজ আহমেদ। ওই স্কুলে তাঁর এক মেয়ে এবং এক ছেলে পড়ে। জন উইলসন স্কুলটি আগে গুলশানে ছিল। মাস তিনেক আগে এটি বাড্ডার সাতারকুলে কেনা জমিতে স্থায়ী ভবনে যায়।
এভাবে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের অধ্যক্ষ মির্জা টি এইচ বেগ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।’
অভিভাবক মিনহাজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১০ মার্চ তাঁর ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গেলে ওই স্কুলের অভ্যর্থনা কক্ষে থাকা কর্মী জানতে চান স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কেমন হয়েছে। ওই কর্মীর কথার জবাবে তিনি বলেন, ভালোই। কিন্তু স্কুলের মাঠটি এতই ছোট যে সেখানে ঠিকভাবে খেলাধুলা করা যায় না। এ সময় রিসিপশনের কর্মী মাঠ না থাকার বিষয়টি প্রকল্প পরিচালককে জানাতে বলেন। কর্মীর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে নিজেকে প্রকল্প পরিচালক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চান। এরপর মাঠ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
মিনহাজ আহমেদ বলেন, ‘আমি তাদের বলি স্কুলটি যেহেতু নিজের জায়গায় জমি কিনে ভবন করেছে, সেখানে মাঠটা একটু বড় করলেই হতো। এতে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে তর্ক শুরু করেন। আমি তখন আর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হইনি। ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর ওই দিন বিকেলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানায়, আমার দুই সন্তান আর এই স্কুলে পড়তে পারবে না।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওই স্কুলের প্রকল্প পরিচালক এম এ রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিজে এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার স্কুল কর্তৃপক্ষই বলবে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনসুর আহমেদ চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। এমনকি খুদে বার্তার জবাবও দেননি।