Thank you for trying Sticky AMP!!

দুজনের যাবজ্জীবন দুজনের সাত বছর করে কারাদণ্ড

পূরবী জুয়েলার্সের মালিক জগন্নাথ ঘোষের ছেলে তূর্য ঘোষ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন, দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ওপর শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি আবদুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে শাহাদাত হোসেন লিটন ওরফে খোঁড়া লিটন ও তাঁর ভাই আল মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং আবু সাঈদ ও শামসুন নাহার শিউলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর আসামি ফরহাদ আলমকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ে ওই পাঁচজনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহসীন রশিদ, আমিনুল ইসলাম ও খবির উদ্দিন ভূইয়া। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ভীষ্মদেব চক্রবর্তী। রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তূর্য ঘোষের মা সুচিত্রা রানী ঘোষ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।’ জগন্নাথ ঘোষ বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তূর্য ঘোষকে উত্তরা থেকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। পরে তাঁর মা-বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার পেয়েও তূর্যকে মুক্তি না দিয়ে রামপুরার একটি বাসায় হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তূর্যের বাবা উত্তরা থানায় অপহরণ মামলা করেন, যা পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়। এ মামলায় শিউলীসহ তিনজন আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রামপুরার বিল থেকে তূর্যর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।