Thank you for trying Sticky AMP!!

দুটি বাল্যবিবাহ ঠেকালেন তিনি

বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি

কনের বাবা ও বরের মামা ফন্দি করেন চুপিসারে বিয়ে দিয়ে দেবেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর। এ উপলক্ষে তাঁরা গোপনে বিয়ের সব আয়োজনও সম্পন্ন করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ধরা পড়েন উপজেলা সহকারী কমিশনারের হাতে। এরপর গুনতে হয়েছে জরিমানা, সঙ্গে দিতে হয়েছে মুচলেকা। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়।

ঘটনাটির সঙ্গে পরিচিত এমন কয়েকজন জানান, উপজেলার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর জাহিদুল ইসলাম (২২)। তবে এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়েবাড়িতে হাজির হন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. আনিসুর রহমান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে সেখানেই বসান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই আদালতে কনের বাবা ও বরের মামা শহিদুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। আর জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশের আদেশ দেন। একই সঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবেন না মর্মে কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেন তিনি।

অপরদিকে, একই উপজেলায় পৃথক ঘটনায় বাল্যবিবাহের চেষ্টার সময় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বর ও কনের বাবার কাছ থেকে সন্তানেরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সেখানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে গোপনে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল ২০ বছর বয়সী সাব্বির আলীর। সংবাদ পেয়ে সেখানেও উপস্থিত হন ওই সহকারী কমিশনার। পরে বর ও কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেন তিনি।

আজ শনিবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. আনিসুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি বলেন, সমাজে বাল্যবিবাহবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গোপনে আয়োজন করা বাল্যবিবাহের কথা জানতে পারছে প্রশাসন। এতে প্রশাসন বাল্যবিবাহ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারছে।