Thank you for trying Sticky AMP!!

দুদকের মামলায় নিউ বসুন্ধরার চেয়ারম্যান করাগারে

দুদকের করা টাকা পাচার মামলায় বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বাগেরহাটের মুখ্য বিচারিক হাকিম স্বপন কুমার সরকার মঙ্গলবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালতে আনিসুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তবে আইনজীবীদের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাঁকে কারাগারে নিয়ে যায়। তাঁকে নিয়ে দুদকের করা এই মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। মামলার অন্য আসামি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নান তালুকদার গত ১৫ জুলাই একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত।

দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জী বলেন, গত ৩০ মে বাগেরহাট শহরের আবদুল মান্নান তালুকদার ও আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করে। ওই মামলার পলাতক দ্বিতীয় আসামি আনিসুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন আবদুল মান্নান তালুকদার। পরে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে একটি জমি কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান করেন শহরের মিঠাপুকুরপাড় জামে মসজিদের ইমাম আনিসুর রহমানকে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা সংগ্রহ করে। টাকাগুলো প্রথমে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি হিসাবে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ওই টাকা তুলে পাচার করা হয়। এই টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে, তা জানতে দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।