Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশে উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়া ৮৬ শতাংশের হাতে স্মার্টফোন

দেশের উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৬২ শতাংশের স্মার্টফোন রয়েছে। যদিও অনেকের ইন্টারনেট খরচসহ নানা সমস্যা রয়েছে। করোনা–কালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস চালুর লক্ষ্যে একটি জরিপ চালাতে গিয়ে এই তথ্য পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন (ইউজিসি)।

বর্তমানে সারা দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় সোয়া আট লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। আর ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন আরও পৌনে চার লাখ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে আছেন আরও বিপুল শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং অনেকে চালুও করেছে। আর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সংসদ টিভিতে ক্লাস হচ্ছে। কলেজেও বিচ্ছিন্নভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে।

আরেকটি সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অনলাইনে কীভাবে ক্লাস নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসি গত মাসে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন শিক্ষার ভূমিকা ও কার্যকারিতার বিষয়ে একটি জরিপ চালায়। ইউজিসির জরিপের তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ওই জরিপে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী এবং সাত হাজারের বেশি শিক্ষক অংশ নেন। জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৬২ শতাংশই বলেছে তাদের স্মার্টফোন আছে। তবে ইন্টারনেট খরচসহ নানা সমস্যার কথা বলেছে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে অনলাইনে ক্লাস নিয়েও অনেকে নানা সমস্যার কথা বলেছে।

ইউজিসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এত বিপুল শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্টফোন থাকতে পারে, এটা তাঁদের ধারণাতেই ছিল না। এখন বাকি যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনে স্মার্টফোন সরবরাহ করার চিন্তাভাবনা আছে। করোনার কারণে এডিবি উচ্চশিক্ষায় অনলাইনে শিক্ষার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্টারনেট খরচ দিতে চায়। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে।

ইউজিসি চাইছে, করোনা–কালে অন্তত সব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাসটা চালু করুক। এ বিষয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতামত চাওয়া হবে জানালেন ইউজিসির একজন সদস্য।

জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করছেন যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও প্রলম্বিত হয়, তাহলে খোলার পর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়েও সেশনজট দূর করা যাবে না। এ জন্যই সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।