Thank you for trying Sticky AMP!!

দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে জাহাঙ্গীরনগরে অচলাবস্থা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবি আজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। ছবি: প্রথম আলো

দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘট আর টানা অবরোধে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরোনো প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনের ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ করে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যাননি। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে।

গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। এরপরেও সর্বাত্মক ধর্মঘটের কারণে কয়েকটি বিভাগে পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলা, ইতিহাস, সরকার ও রাজনীতি বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা ক্লাস-পরীক্ষা নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির হার অন্যান্যদিনের চেয়ে তুলনামূলক কম ছিল।

আন্দোলনকারী শিক্ষক নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিবিশেষকে অপসারণের দাবিতে নয়। বরং একটি সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগের যথাযথ তদন্তের দাবিতে শুরু হয়েছিল। কিন্তু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সদুত্তর আমরা পাইনি। বাধ্য হয়েই অপসারণের দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে আমাদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আন্দোলনে ভীত হয়ে গতকাল রাতে অনুষদ ভবনগুলোর কলাপসিবল গেটে শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যাতে আন্দোলনকারীরা ফটক আটকাতে না পারে। কিন্তু তাঁদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। বরং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্লাসেই আসেননি।’

এদিকে আন্দোলনকারীদের পাঁচজন প্রতিনিধির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ‘সংকট সমাধানের লক্ষ্যে’ বৈঠকে বসেছে। বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দোতলায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের এ বৈঠক বসে। বেলা একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছে।