Thank you for trying Sticky AMP!!

ধরাছোঁয়ার বাইরে নুরুল আমিন ও পরেশ বড়ুয়া

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অন্যতম দুই আসামি সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন ও ভারতীয় বিছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসমের (উলফা) সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তিন বছরেও তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ভারতের আসাম রাজ্যের ভারাইগাঁও জেরাইছাকলি গ্রামের দ্বিজেন বড়ুয়ার ছেলে পরেশ বড়ুয়া। আর নুরুল আমিন ঢাকার মোহাম্মদপুরের শায়েস্তা খান রোডের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আনার সঙ্গে পরেশ বড়ুয়া ও নুরুল আমিনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর থেকে তাঁদের আটকের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে এ দুজনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত পলাতক দুই আসামি পরেশ বড়ুয়া ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে তাঁদের ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাঁদের পুলিশ ধরতে পারেনি। তাঁরা পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেওয়া হয়।’

পিপি কামাল বলেন, মামলার অন্যতম আসামি হাফিজুর রহমান তাঁর জবানবন্দিতে উলফার জন্য ওই অস্ত্র-গোলাবারুদ পরেশ বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে আনা হয়েছিল বলে স্বীকার করেন। অস্ত্র খালাসকালে পরেশ বড়ুয়া জামান নামে নিজের পরিচয় দিয়ে সিইউএফএল জেটিঘাটে ছিলেন। অস্ত্র আনা থেকে শুরু করে পরিবহন—সবই দেখভাল করেন পরেশ বড়ুয়া। ঘটনার দুই বছর আগে জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম ফারুক অভির মাধ্যমে পরেশের সঙ্গে হাফিজের পরিচয় হয়। পরেশই হাফিজকে বিদেশ থেকে জাহাজে করে মেশিনারিজ আনা হবে বলে জানান। হাফিজকে অগ্রিম ৫০ লাখ টাকাও দেন।

সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিনের বিরুদ্ধেও সিইউএফএলের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মবিন হোসেন খানসহ পাঁচজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। তদন্তেও ঘটনার সঙ্গে নুরুল আমিনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।