Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্ষণের শিকার নারীদের সাহস জোগান: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম

ধর্ষণের শিকার নারীদের সাহস জোগানোর জন্য মানবাধিকারকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেছেন, ‘ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের বোঝাতে হবে, এ ক্ষেত্রে তার কোনো দায় নেই, সব দায় বা অপরাধ ধর্ষণকারীর। ভয় তাকে পেতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি যাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল সংরক্ষণ করে, সে ব্যাপারে তাদের সচেতন করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এসব কথা বলেন নাছিমা বেগম। আসকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সভার আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশের সমসাময়িক মানবাধিকার পরিস্থিতি। সভায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ৫৫ জন অংশ নেন।
মানবাধিকারকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাছিমা বেগম বলেন, ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের মতো ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

আজকের সভায় উঠে আসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কোনো বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করতে পারেন না। কমিশনও এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
আজকের সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও নিজস্ব উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি পরিসংখ্যানগত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, কারা হেফাজতে মৃত্যু, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, পারিবারিক নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ ও হত্যা, সীমান্ত সংঘাত, সাংবাদিক হয়রানি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আসকের নির্বাহী কমিটির মহাসচিব নূর খান বলেন, মানবাধিকারÑকমিশন ১০ বছর শেষ করেছে। ফলে মানবাধিকারকর্মীদের তার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক। কমিশন মানবাধিকারকর্মীদের আশ্রয়স্থল, সরকারের সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীদের সেতুবন্ধ তৈরি করে দেওয়া তাঁদের কাজ।