Thank you for trying Sticky AMP!!

নওগাঁয় কোভিড-১৯ রোগীদের ৮৭ শতাংশ সেরে উঠেছেন

নওগাঁয় কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৮৩৮ জন, যা মোট আক্রান্তের ৮৭ শতাংশের বেশি। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগী বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৬ জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে ১১৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগরে প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৫১ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৯৬০ জন। গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন, যা মোট আক্রান্তের ৮৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সুস্থ হওয়া ৮৩৮ জনের মধ্যে ৭৫০ জনই বাড়ি থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ ৮৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ রোগী তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকেই সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জটিল কোনো উপসর্গ না থাকায় কোভিড-১৯ রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে নওগাঁয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে। গত জুলাই মাসে ৩১ দিনে জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২ হাজার ৭৫০ জনের। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহে (৭ দিনে) নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২১৭ জনের। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বেশি কিছু কারণে নমুনা সংগ্রহ কমেছে। আগে সংক্রমণের ১৪ দিন পর ফলোআপ নমুনা সংগ্রহ করা হতো, এখন সেটি নেওয়া হচ্ছে না। ফি নির্ধারণের কারণেও নমুনা সংগ্রহ কমেছে। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন না।