Thank you for trying Sticky AMP!!

নতুন করে এল ১৮৫ রোহিঙ্গা

শনিবার রাখাইন রাজ্য থেকে ১৮৫ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই। আজ শনিবার নতুন করে এসেছেন ৪৪ পরিবারের ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে গত সাত দিনে এ সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫৩-তে।

নতুন পালিয়ে আসা এ রোহিঙ্গারা এসেছে সাগরপথে। তাদের আশ্রয় হয়েছে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে।
টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী সেনাবাহিনী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখন রোহিঙ্গারা সাগরপথে নৌকা দিয়ে টেকনাফের বিভিন্ন উপকূলীয় পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে। আজ সকালে অনুপ্রবেশ করা ৪৪ পরিবারের ১৮৫ জন রোহিঙ্গা হারিয়াখালী সেনাবাহিনীর ত্রাণকেন্দ্রে আসে। মানবিক অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণ-সংবলিত একটি করে বস্তা দিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

আজ ত্রাণকেন্দ্রে আসা মিয়ানমারের বুচি দং শহরের আং ডাং ও সিন্ডিপ্রাং গ্রামের বাসিন্দা দলিলুর রহমান, আজর আলী, হুমায়ুন রশিদ, নবী হোসেন, আয়েশা বেগম, মরজিনা খাতুনসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানতে পেরেছেন বলে জানান।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওপারে রাখাইনের কিছু এলাকায় এখনো রোহিঙ্গা রয়েছে। হামলার মুখে তারা বাড়িঘর ছেড়ে বন-জঙ্গলে পালিয়ে আছে। সেখানে তারা খাবারের জন্য হাটবাজারে যেতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশে ঢুকতে মরিয়া তারা। মিয়ানমারের মংডুর দংখালী বালুরচরে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে প্রায় দুই মাসের মতো অবস্থান করছে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। নৌকা-সংকটের কারণে তারা বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ৫টি নৌকায় করে এই ১৮৫ জন আসতে সক্ষম হন। অবশ্য তারা নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পেরে ছয়-সাত ঘণ্টার সাগরপথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফের পশ্চিম দিকের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক হয়। এর মধ্যে আবারও সাগরপথ দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে।