Thank you for trying Sticky AMP!!

নমুনা 'না দিলেও' করোনা পজিটিভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণ (২১) অভিযোগ করেছেন, তিনি নমুনা জমা না দিলেও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাঁকে ফোন করে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, ওই তরুণ নমুনা দিয়েছেন। তা না হলে পরীক্ষার প্রতিবেদন পজিটিভ আসার কোনো সুযোগ নেই।

ওই তরুণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র। বাড়ি জেলা শহরের কাউতলী এলাকায়।

ওই তরুণের ভাষ্য, করোনা পরীক্ষার জন্য ৩ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে তিনি ফরম পূরণ করেন। পরদিন দুপুরে তাঁকে হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে নমুনা দিতে বলা হয়। কিন্তু ৩ জুন দুপুরে তাঁর মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ। পরদিন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক করতে করতে রাত হয়ে যায়। ফলে তিনি আর নমুনা দিতে হাসপাতালে যেতে পারেননি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে ফোন করে একজন চিকিৎসক বলেন, নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে।

ওই তরুণ বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই অস্বস্তিকর অবস্থায় আছি। এখন বুঝতে পারছি না কী করব। আমি তো নমুনাই দিইনি, তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে? তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।’

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ‍সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন চিকিৎসকসহ ২৯ জনের পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ হিসেবে আসে। তাঁদের মধ্যে ওই তরুণ আছেন। এই তরুণসহ সদর উপজেলায় যাদের বাড়ি, তাঁদের ফোন করে করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের চিকিৎসক তানিয়া সুলতানা চৌধুরী।

তানিয়া সুলতানা বলেন, তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের মাধ্যমে করোনা পজিটিভ রোগীদের নাম ও ফোন নম্বর পান। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়টি ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তাঁরা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।