Thank you for trying Sticky AMP!!

নরসুন্দরের কাজ করেই ৯০ পার দিনেশের

সেলুনে কাজ করছেন দিনেশ চন্দ্র। প্রথম আলো

দিনেশ চন্দ্র শীলের বয়স ১১০ বছর। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও ধরে রেখেছেন বাপ-দাদার শেখানো নরসুন্দর পেশা। নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন চত্বরের একটি টংঘরে এই কাজ করে যাচ্ছেন ৯০ বছর ধরে।

শরীরে বয়সের ছাপ ফুটে উঠলেও সংসার চালানোর তাগিদটাই এই বয়সে এসেও কাজ করার মানসিক শক্তি দিয়েছে তাঁকে। চার ছেলে, এক মেয়ে আর স্ত্রী সন্ধ্যা রানীকে (৭০) নিয়ে সংসার দিনেশ চন্দ্রের। নরসুন্দরের কাজ করেই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। চার ছেলেকে বড় করেছেন। তাঁরা এখন তাঁদের স্ত্রী–সন্তান নিয়ে অন্য উপজেলায় ঘর বেঁধেছেন। দিনেশের আয়ের উৎস হিসেবে আছে শুধু এই পেশা আর ঘরের সঙ্গী হিসেবে আছেন স্ত্রী সন্ধ্যা রানী।

গতকাল রোববার ইউনিয়ন চত্বরের টংঘরে কাজ করতে দেখা যায় দিনেশ চন্দ্রকে। সেখানেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলাপে জানা গেল, নিজস্ব জমি নেই তাঁর। নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের ফাঁকা জায়গায় একটি ছাপরা ঘর তুলে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। ক্ষুর-কাঁচিকে অবলম্বন করে দিনে ৭০ থেকে ১০০ টাকার আয়ে চলে সংসার।

দিনেশ চন্দ্র বলছিলেন, আধুনিক সেলুনের কারণে এখন আর কেউ টংঘরে বসে চুল–দাড়ি কাটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ফলে আয়ও কমে গেছে। তবে অসচ্ছল শ্রেণির মানুষগুলো কম টাকায় চুল–দাড়ি কাটতে এখনো তাঁর কাছেই আসেন।