Thank you for trying Sticky AMP!!

নাইমুলের মৃত্যুতে প্রথম আলোর সম্পাদকের নামে বাবার মামলা

নাইমুল আবরার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে অভিযোগ করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হক নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আবরারের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

মজিবুর রহমান আজ বিকেলে আদালতে হাজির হয়ে নালিশি মামলাটি করেন। মামলায় মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, ১ নভেম্বর তাঁর ছেলে নাইমুল আবরার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোরদের ম্যাগাজিন কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান চলাকালে নাইমুল আবরার মঞ্চের পেছনে আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য যে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্থাপন করা হয়, তা অরক্ষিত ছিল। এমন অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তামূলক ও সাবধানতার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তা করা হয়নি। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। অথচ নাইমুল আবরারকে সেখানে না নিয়ে মহাখালীতে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া মৃত্যুর সনদ থেকে দেখা যায়, নাইমুল আবরারকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ভর্তি করা হয়। আর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। মামলায় আরও দাবি করা হয়, নাইমুল আবরার বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মারা যায় ৪টা ৫১ মিনিটে। নাইমুল আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করে নাইমুল আবরারের পরিবারকে মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়; যা পরিকল্পিত গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।


আরও পড়ুন
নাইমুল আবরারের মৃত্যু: কিশোর আলোর সম্পাদকের বক্তব্য
নাইমুল, সন্তান আমার, যদি ফিরে আসতে!