Thank you for trying Sticky AMP!!

নাটোরে শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত ১৭ পরীক্ষার্থীর

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র শিক্ষা বোর্ডে না পাঠানোয় নাটোরের গুরুদাসপুরের এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৭ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবে ফল প্রকাশের তিন সপ্তাহ পার হলেও এ ঘটনায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরবর্তী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে পরবর্তী শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চিত দিন পার করছে ওই পরীক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীরা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া আদর্শ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল শাখার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছে। তারা ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতা’র অভিযোগ এনেছে। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন আশ্বাস দিয়ে ওই পরীক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মো. আবুল বাসার মহিদুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির এসএসসি (ভোক) শাখা থেকে ইলেকট্রিক্যাল-২ পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিল। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠানোর জন্য প্রধান শিক্ষকের প্রতিনিধি তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৬০০ টাকা নিয়েছিল। দাবি করা টাকা পরিশোধ করার পরও তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়নি। ফলে অন্য বিষয়ে কৃতকার্য হলেও তারা শুধু ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।

পুরুলিয়া আদর্শ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জার্জেস হোসেন শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়নি। এ কারণে তারা অকৃতকার্য হয়েছে। তবে বিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ব্যবহারিক বিষয়ের নম্বরপত্র নতুন করে পাঠালেই ফল চলে আসবে বলে প্রধান শিক্ষক তাঁকে নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রধান শিক্ষকের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।