Thank you for trying Sticky AMP!!

নারায়ণগঞ্জে তিন নারীকে নির্যাতনের 'মূল হোতা' ইউপি সদস্য রিমান্ডে

তিন নারীকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে নির্যাতন মামলার আসামি ইউপি সদস্য ইউসুফ হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ, ১৯ ফেব্রুয়ারি। ছবি: মজিবুল হক

নারায়ণগঞ্জে তিন নারীকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ‘মূল হোতা’ ইউপি সদস্য ইউসুফ হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ইউসুফ হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দক্ষিণ কলাবাগান এলাকায় নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, নির্যাতিত তিন নারী হলেন ফাতেমা বেগম (৪৫) এবং তাঁর আত্মীয় আসমা বেগম ও বানু বেগম।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সুদে লাগানো প্রায় দেড় লাখ টাকা চাওয়া নিয়ে স্থানীয় জীবন নামের এক ব্যক্তি ও এক নারীর সঙ্গে বিরোধের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার এই তিন নারীকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে ইউপি সদস্য ইউসুফ হোসেন ও জীবনের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন নির্যাতন করেন। নির্যাতনের বিবরণে বলা হয়, এই তিন নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের পাশাপাশি কয়েক ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তাঁদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় এবং টাকা খাটানো সংশ্লিষ্ট নারীর বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

আহত নারীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর পুলিশ আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তাঁরা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছিল না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক ফায়জুল কবিরের নেতৃত্বে একটি দল নারায়ণগঞ্জে আসে। তাঁরা নির্যাতনের শিকার নারী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁদের হস্তক্ষেপে নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগম গতকাল সোমবার বাদী হয়ে ইউসুফ হোসেন, জীবনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।