Thank you for trying Sticky AMP!!

নারী শ্রমিকদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে গবেষণা

কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের পানি, স্যানিটেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক ব্যবস্থাপনার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গবেষণা করছে আইসিডিডিআরবি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার পোশাক কারখানায় প্রায় ৪২ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করে। কর্মক্ষেত্রে এই শ্রমিকেরা পানি, স্যানিটেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক ব্যবস্থাপনার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে কি না, পেয়ে থাকলে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রচলিত অভ্যাসগুলো কতটুকু স্বাস্থ্য উপযোগী সে সম্পর্কে খুব কম জানা যায়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের দ্য ওয়াটারলু ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সার্বিক অবস্থা জানার জন্য গত বছরের মার্চ মাস থেকে একটি নতুন গবেষণা পরিচালনা করছে। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো দু’টি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক ব্যবস্থাপনার (এমএইচএম) প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা এবং অনুশীলনের উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক কৌশল প্রণয়ন করা। অন্যান্য কারখানায় তা প্রয়োগের পথ তৈরি করা।

এ গবেষণার অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত আহমেদ ফ্যাশনস কারখানায় কারখানার শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন সংশ্লিষ্ট প্রচলিত ভুল অভ্যাসগুলো পরিবর্তন বিষয়ে কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে কর্মীদের নিরাপদ পানি, পয়:ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন সম্পর্কে আচরণগত পরিবর্তন আনার বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের ওপর জোর দেওয়া হয়। এতে কারখানার ৫০জন কর্মী অংশ নেন। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবি’র ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের রিসার্চ ফেলো আয়েশা আফরিন।

এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইসিডিডিআরবি’র গবেষণাটির প্রধান গবেষক এবং সহকারী বিজ্ঞানী মাহবুব-উল আলম বলেন, পোশাকশিল্পের নারী শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য এবং তাদের স্বাস্থ্যসম্মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খুব কম জানা যায়। নারী-বান্ধব স্বাস্থ্য উপযোগী ব্যবস্থা উন্নয়নের উপায় বের করতেই এ গবেষণা করা হচ্ছে।

আজ আইসিডিডিআরবি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গবেষণার শুরুতে গবেষণায় অংশ নেওয়া দুটি কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার পর টয়লেট চেম্বার, হাত ধোয়ার স্থান, পানি সরবরাহের স্থান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হয়। স্থানীয় সহযোগী সংগঠন এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নারী শ্রমিকদের মধ্যে বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে গবেষণার কাজে সহায়তা করেছে। বিজ্ঞপ্তি