নাশকতার মামলায় ঢাকায় গ্রেপ্তার ১৫, রিমান্ডে ৮
নাশকতার মামলায় বিএনপি ও শিবিরের ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রোববার গ্রেপ্তার করার পর সোমবার তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে এঁদের মধ্যে ৮ জন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার আদালত।
পুলিশ ও আদালত সূত্র বলছে, মিরপুর থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সাতজন হলেন আতাউর রহমান (২৭), আল মামুন (২৫), খয়বার হোসেন (২০), বশির উদ্দিন আহমেদ (২৫), মো. আরিফ (২০), হাসান শেফাদিন (১৯) ও নুরুন্নবী ওরফে সাদ্দাম (২৬)।
ছাত্রশিবিরের এই সাতজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে মিরপুর থানার পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া।
নাশকতার মামলায় খিলক্ষেত থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তারিকুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৩১ অক্টোবর খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
বংশাল থানায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে করা নাশকতার মামলায় রফিক নামের (৬০) এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনে পুলিশ বলেছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি রফিক। তাঁকে গতকাল আসামির নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ গত সেপ্টেম্বর মাসের নাশকতার মামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল বাসার ওরফে বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, নাশকতার মামলায় বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, কাফরুল এবং নিউমার্কেট এলাকা থেকে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
-
মানুষের হাত-পা কেটে নিজেই ‘অস্ত্রোপচার’ করতেন মিল্টন সমাদ্দার: ডিবি
-
শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুল করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল: মন্ত্রণালয়
-
ইজারার পুরো টাকা না দিয়েই গাবতলী পশুর হাট দখল, হাসিল আদায় ডিপজলের
-
মানব পাচার মামলায় চার দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
-
শিক্ষার্থী বিক্ষোভে বাম–ডান দুই দিক দিয়েই বিপদে বাইডেন