Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজ দম্পতির লাশ উদ্ধার হয়নি

কাপ্তাই হ্রদে গত বুধবার পর্যটক দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল টুরিস্ট বোটগুলো পর্যটক নিয়ে চলাচল করেনি। রাঙামাটির পর্যটন ডিয়ার পার্ক এলাকা থেকে ছবিটি তোলা,প্রথম আলো

ঘূর্ণি বাতাসে কাপ্তাই হ্রদে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ দম্পতির লাশ ২৭ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকলকর্মীরা বিরতিহীনভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাপ্তাই হ্রদে ঘূর্ণি বাতাসে ট্রলার উল্টে যায়। এ সময় আমেরিকাপ্রবাসী কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার আলাউদ্দিন পাটোয়ারী (৩২) ও তাঁর স্ত্রী আইরিন সুলতানা লিমা (২৬) পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। ট্রলারচালক বিটন চাকমাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ দম্পতির স্বজনেরা ওই দিন রাতে রাঙামাটি এসে পৌঁছান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা সারা দিন কখনো রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায় বসে দূর থেকে উদ্ধার অভিযান দেখেছেন। আবার কখনো বোটে করে কাপ্তাই হ্রদে নিখোঁজ দম্পতিকে খুঁজে বেড়িয়েছেন।

স্বজনেরা জানান, মাত্র নয় মাস আগে আলাউদ্দিন ও আইরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আলাউদ্দিন আমেরিকা যান। আইরিনকে সঙ্গে নিতে কয়েক দিন আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী ৪ এপ্রিল আলাউদ্দিন ও আইরিনের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। আলাউদ্দিন ছিলেন সাবেক বিডিআরের সদস্য। ডিভি লটারি পেয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি আমেরিকা যান।

গতকাল উদ্ধারকারী দল ট্রলারচালক বিটন চাকমাকে নিয়ে ট্রলার উল্টে যাওয়ার স্থান নিশ্চিত করেছেন। পরে ওই স্থানে ১০ থেকে ১২টি নৌযান গোলাকারভাবে রেখে উদ্ধার অভিযান চলে। ওই অবস্থায় সারা দিন একজনের পর একজন ডুবুরি পানিতে নেমে লাশ খোঁজেন। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লাশ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা দিন কিছুক্ষণ পর পর তাঁদের স্পিডবোট নিয়ে কাপ্তাই হ্রদে তল্লাশি চালান।

নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার মো. জুলহাস ফয়সাল বলেন, ‘নিখোঁজের স্থানটি সুনিশ্চিত নয়। তা ছাড়া এলাকাটি অনেক বড়। ডুবুরিরা হয়তো লাশের খুব কাছাকাছি গিয়েও নাগাল পান না। তাই উদ্ধারকাজ শেষ হচ্ছে না। লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলবে।’

সুবলংয়ে একজন নিহত: গত বুধবার ঘূর্ণি বাতাসে বাড়ির চালা উড়ে এসে মাথার ওপর পড়ে বরকল উপজেলায় জ্যোতির্ময় চাকমা (২৭) নামের এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি সুবলং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উকছড়ি গ্রামের বৃষ কুমার চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে। সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুণ জ্যোতি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।