Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজ সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ফিরে এসেছেন

মারুফ জামান

নিখোঁজ থাকা সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ফিরে এসেছেন। তাঁর বড় মেয়ে শবনম জামান ফেসবুক পোস্টে বাবার ফিরে আসার খবর নিশ্চিত করেছেন। ওই পোস্টেই বলেছেন, এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাঁরা বিস্তারিত কিছু বলতে চাইছেন না।

মারুফ জামান ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে আনতে ধানমন্ডির বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তাঁর বড় মেয়ে সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সাড়ে ১৫ মাস বা ৪৬৭ দিন পর আমার বাবা ফিরে এসেছেন। এই সময়ে যাঁরা আমাদের পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতি আমি ও আমার ছোট বোন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখন সবাইকে অনুরোধ করব যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি তা ভুলে থাকতে আমরা কিছুটা সময় নিজেদের মতো থাকতে চাই। এ বিষয়ে এখন আমাদের আর বিস্তারিত কিছু বলার নেই।’

মারুফ জামান ফিরেছেন খবর পেয়ে ধানমন্ডি থানার পুলিশ তাঁর বাসায় যান। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে তিনি সুস্থ নন। পরে কথা বলবেন।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, মারুফ জামানের মেয়ে সামিহা জামান বলেছেন রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি বাসায় আসেন। কে বা কারা তাঁকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেছেন, তা তিনি জানেন না। তিনি বাসাও চিনতে পারছিলেন না। যে ভবনে তিনি থাকেন সেটির তত্ত্বাবধায়ক তাঁকে দেখে বাসায় নিয়ে যান।

মারুফ জামান বিমানবন্দরে মেয়েকে আনতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বাসার ল্যান্ড ফোনে ফোন করেন। তিনি জানান কয়েকজন লোক বাসায় যাবেন। তাঁরা তাঁর ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নিয়ে যাবেন। এর কিছুক্ষণ পরই কালো টি-শার্ট পরা সুঠামদেহী তিন লোক বাসায় এসে ফোন, ল্যাপটপসহ প্রযুক্তি ব্যবহারের জিনিসপত্রগুলো নিয়ে যায়। তাদের মাথার টুপি নাক পর্যন্ত নামানো ছিল। ফলে ফুটেজ দেখে আগন্তুকদের চেহারা পুলিশ বুঝতে পারেনি।

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর শবনম জামান এক ইমেইল বার্তায় প্রথম আলোকে জানান, তাঁর বাবা সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন এবং কাতার ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁকে বিদেশি মিশন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।