Thank you for trying Sticky AMP!!

নিজে ব্যবসা খুলে বসতে এত কাণ্ড!

বার্গার-এ-কেল্লা ফতে রেস্তোরাঁয় উদ্যোক্তা সাফায়েত আরা। গতকালের ছবি। প্রথম আলো
>
  • ২০১৭ সালের মার্চে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন তিন নারী উদ্যোক্তা।
  • বাড়ির মালিকের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিপত্র হয়েছিল।
  • ১০ মাসের মাথায় অবৈধভাবে উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন বাড়ির মালিক।

তিন নারী উদ্যোক্তার অভিযোগ, তাঁরা নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ধরনের পরিষেবা বিল পরিশোধ করলেও বাড়ির মালিক তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেননি। ফলে সম্প্রতি ওই রেস্তোরাঁর বৈদ্যুতিক ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

বার্গার-এ-কেল্লা ফতে পরিচালনাকারী ফাহমিদা মিশু, সাফায়েত আরা এবং সাদিয়া আফরিন তিন বোন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৭ সালের মার্চে লালবাগ কেল্লার সামনে সাততলা বাড়ির নিচতলায় ৬০০ বর্গফুট জায়গা ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেছিলেন তাঁরা। এ নিয়ে তিন বছরের একটি চুক্তিপত্রও হয়েছিল। কিন্তু ১০ মাসের মাথায় অবৈধভাবে তাঁদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন বাড়ির মালিক রিয়াজ আহমেদ। তাঁরা সরতে না চাওয়ায় প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে হুমকি-ধমকি। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার শরণাপন্ন হয়েছেন বাড়ির মালিক। অথচ এই রেস্তোরাঁর অগ্রিম এবং অন্দরসজ্জা বাবদ প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন তিন নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া একই সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই তলাটি তাঁদের বুঝিয়ে দেননি বাড়ির মালিক। অথচ তিনি দ্বিতীয় তলা ভাড়া বাবদ আট মাসে চার লাখ টাকা ভাড়া নিয়েছেন।

ফাহমিদা মিশু বলেন, ‘আমরা তিন বোন স্বপ্ন দেখতাম একসময় এটাই হবে ঢাকার সবচেয়ে নামী খাবারের দোকান। কিন্তু আমরা নারী বলে পদে পদে আমাদের বাধা দিচ্ছেন বাড়ির মালিক রিয়াজ আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার রিয়াজ আহমেদের পক্ষ হয়ে বিচার বা সালিসের জন্য আমাদের তিন বোনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেনের অনুসারীরা। আমরা যেতে না চাওয়ায় আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন তাঁরা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে আকতার হোসেন বলেন, ‘ওই বাড়ির মালিক আমার কাছে বিচার চেয়েছিলেন। তাই আমরা তা সমাধান করতে চেয়েছিলাম। দুজন লোক পাঠিয়েছিলাম তাঁদের খবর দিতে। তাঁরা হুমকি-ধমকি দেননি।’

যোগাযোগ করা হলে বাড়ি মালিক রিয়াজ আহমেদ বলেন, তিনি রেস্তোরাঁর উদ্যোক্তাদের কোনো হুমকি-ধমকি দেননি। বরং অনেক সহযোগিতা করেছেন। তবে নিয়মিত ভাড়া এবং পরিষেবা বিল পরিশোধ না করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তাই বাধ্য হয়ে তিনি এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।