Thank you for trying Sticky AMP!!

নিরাপত্তা সরঞ্জাম পেয়ে কাজে ফিরলেন রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের বাইরে আজ বৃহস্পতিবার তাঁবু টাঙিয়ে হাঁচি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: শহীদুল ইসলাম

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় নিজেদের জন্য ন্যূনতম কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম পেয়ে তিন ঘণ্টার মাথায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে ফিরলেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় কর্মবিরতিতে যান। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই তাঁরা কর্মবিরতিতে যান।

দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাঁচি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের ভেতরে না ঢুকিয়ে বাইরে তাঁবু টাঙিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। চারজন চিকিৎসক এখানে এসব রোগী দেখছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ন্যূনতম কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা বেলা ১১টার দিকে কাজে যোগ দেন।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে তাঁবুর নিচে বসে চারজন চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সেখানে প্রায় দেড় শ রোগী ভিড় করেছেন। তবে কোনো রোগীর মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। চিকিৎসকেরা মাস্ক ও গ্লাভস পরে ছিলেন।

কাজে ফেরার বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান বলেন, তাদের ন্যূনতম কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। কর্মবিরতিতে যাওয়ার পর তাদের কিছু পরিমাণে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভস সরবরাহ করা হয়েছে। এখনো তাদের গাউন দেওয়া হয়নি। তারপরও মানবিক কারণে কাজে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

সকালে ইকবাল হাসান বলেছিলেন, এই হাসপাতালে ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক আছেন। তাঁদের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করেনি। হাঁচি-কাশিসহ সব ধরনের সংক্রমণ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ঢুকছেন। তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ন্যূনতম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় চিকিৎসকদের ওই রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নৈতিক কারণে তাঁরা ডেঙ্গু পরিস্থিতির সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনো একই অবস্থা ছিল। এবারও একই পরিস্থিতি থাকায় ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারের কথা চিন্তা করে গতকাল তাঁরা হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের দাবিদাওয়া শুনে পরিচালক বলেছেন, তিনি মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন। কিন্তু চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নিতে হলে এই সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। সে কারণে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন।