Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্বাচন ভবনের আগুনে ক্ষতি সামান্য: ব্রিগেডিয়ার সাইদুল

নির্বাচন ভবন চত্বরে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে ভবনে লাগা আগুনে ক্ষতি সামান্যই হয়েছে। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে নির্বাচন ভবন চত্বরে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

ব্রিগেডিয়ার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে সেখানে থাকা ব্যালট ইউনিটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পয়েন্ট অব ফায়ার যেটা দেখলাম, মেইনলি কেবলের দিকে ফায়ারটা ছড়িয়েছে। যার জন্য ওপরের কেবলগুলো পুড়ে গেছে। এসিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেবলের বাক্সগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যালট ইউনিট, মনিটর, কন্ট্রোল ইউনিট যেভাবে আশঙ্কা করেছিলাম, সে তুলনায় সেই রকম কোনো ক্ষতিই হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগণ্য।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিচতলায় গতকাল রোববার রাত ১১টার পর আগুন লাগে। রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।

ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপ এবং টিমওয়ার্কের জন্য এত বড় একটা ক্ষতির হাত থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি।’

যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে এক হাজারের মতো ইভিএম ছিল কি না, তা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, ‘অত হবে না। আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য দেব।’
ইউনিয়ন পরিষদ ও আটটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ইভিএমগুলো আনা হয়েছিল বলে জানান ব্রিগেডিয়ার সাইদুল।

রংপুরে ইভিএম ব্যবহারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, তা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, ‘তদন্তের পর আমরা দেখব। এনআইডি উইংয়ের পক্ষ থেকে আমরা বলব, সেখানে ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমরা সেই ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। বাকিটা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনে উপস্থাপন করব। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, ‘ইভিএম কোনোটা তিনদিন আগে এসেছে, এগুলো পর্যায়ক্রমে এসেছে। এখানে সাড়ে চার হাজার সেটের মতো ইভিএম রেখেছি। সেগুলো বিভিন্ন রুমে রয়েছে। যে রুমে আগুন লেগেছে, সেই রুমে দুই মিটারের মধ্যে আমরা দেখলাম, কোনো কন্ট্রোল ইউনিট অথবা ব্যালট ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’

পুড়ে যাওয়া জায়গায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল কি না, তা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে কোনো কাগজপত্র ছিল না। যেখানে আগুন লেগেছে এবং তার পাশে যে প্লাস কেবল ও এসিগুলো পুড়েছে, সেগুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারতেন কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পোড়ার তেমন কোনো প্রশ্ন নেই। দুই মিটারের মধ্যে আমরা খুলে দেখেছি, কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পোড়েনি।’

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ওখানে যেহেতু কেউ বসবাস করে না, সেখানে কোনো হিটার নেই, কাজেই বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কিছু তো দেখছি না।’