Thank you for trying Sticky AMP!!

নীতিমালা অনুসারে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কেন নয়: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

২০১৭ সালের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা অনুসরণ করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। কৃষিসচিব, খাদ্যসচিব ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ‘এক টন ধান বিক্রিতে ঘুষ তিন হাজার টাকা’ শিরোনামে গত ২২ জুলাই এবং ‘গুদামে চাল দেন ফড়িয়ারা’ শিরোনামে গত ৩০ জুলাই প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে নীতিমালা অনুসরণ করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশনা চেয়ে জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গত ১৮ আগস্ট রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিরোজ আলম।

পরে ফিরোজ আলম প্রথম আলোকে বলেন, খোলাবাজারে ফড়িয়াদের কাছে সাড়ে চার শ থেকে পাঁচ শ টাকায় এক মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে। ফড়িয়ারা এই ধান সরকারি গুদামে দিচ্ছেন ১ হাজার ৪০ টাকায়। অথচ নীতিমালা অনুসারে ওই মূল্যে ধান নেওয়ার কথা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে। তাই রিটটি করা হয়।

রিটের যুক্তি সম্পর্কে এই আইনজীবী বলেন, ২০১৭ সালের ওই নীতিমালার ৯ বিধি অনুসারে সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধানসংগ্রহ করবে। অথচ গোডাউনগুলো মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। ফলে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি করতেও পারছেন না। কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে, যেখানে উৎপাদন খরচও মেটাতে পারছেন না, যা নীতিমালার ৯ বিধির পরিপন্থী। এ ছাড়া নীতিমালার ২১ বিধি অনুসারের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে মিল মালিকেরা তা ছাঁটাই করবেন। এ ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না।