Thank you for trying Sticky AMP!!

নুসরাত হত্যা: ৩ আসামির আরও ১ দিন করে রিমান্ড

নুসরাত জাহান।

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে আবার এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ ও আলামত উদ্ধারের জন্য নতুন করে এই রিমান্ড চাওয়া হয়।

আজ বুধবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন তিন আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, মামলার আলামত উদ্ধার ও শনাক্ত করতে নুসরাত হত্যা মামলার তিন আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ ও সাইফুর রহমান মো. জোবায়েরের আরও দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন গতকাল মঙ্গলবার। আদালত আজ বুধবার রিমান্ডের আবেদনের শুনানি শেষে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, নুসরাত তাঁর মৃত্যুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া ‘ডাইং ডিক্লারেশনে’ বলেছিলেন, তাঁর গায়ে আগুন দেওয়ার আগে একটি গ্লাস ব্যবহার করেছিলেন অগ্নিসংযোগকারীরা। গ্লাসটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এটিও মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত। ওই আলামত উদ্ধারের জন্যই তিনজনকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, তাঁরা তিনজনই বোরকা পরিহিত অবস্থায় নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় দুজন মেয়েও নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তাঁদের সহযোগী ছিলেন।

এর আগেও এ তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে গত ৬ এপ্রিল সকালে মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য তাঁদের ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার এবং কেরোসিন তেল কেনার দোকান শনাক্ত করা হয়।

গত ২৭ মার্চ নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নুসরাতের মা। অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ওই দিনই গ্রেপ্তার হন। গত ৬ এপ্রিল মামলা তুলে নিতে রাজি না হলে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার ছাদে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

সোনাগাজীর চাঞ্চল্যকর নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।