Thank you for trying Sticky AMP!!

নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন ড. কামাল

রাশেদ খান মেনন । ফাইল ছবি

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জিয়া-খালেদার পর ড. কামাল এখন যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ও সমাজে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর এই অপরাধবোধ থেকেই সম্ভবত তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে খেপে গিয়েছিলেন।’ 

মেনন বলেন, তবে তাঁর মনে রাখা উচিত এক মুখ ধমক দিয়ে বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোটি মানুষের দেশবাসীর মুখ বন্ধ রাখা যায় না।

আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মেনন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এ সভার আয়োজন করে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে সংসদ নির্বাচন করে ড. কামাল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কেবল নৈতিক অধিকারই হারাননি, বুদ্ধিজীবী হত্যা, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলার সব অধিকার তিনি হারিয়েছেন। তাই, সাংবাদিকেরা নয়, দেশবাসীর কাছে তারই ক্ষমা চাইতে হবে।’

সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করায় ড. কামাল যদি একজন সাংবাদিককে হুমকি দিতে পারেন। কত টাকা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করছে বলে জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাহলে আমরাও তাঁকে একই প্রশ্ন করতে পারি, তিনি কত টাকার বিনিময়ে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসাতে মাঠে নেমেছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে ড. কামালরা ধরাকে সরা মনে করছে। তারা পাকিস্তানের আইএসের সঙ্গে আঁতাত করে রাজাকার–আলবদরের দোসরদের এখন ক্ষমতায় নিতে চায়।’
যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে মেনন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা যেমন আমাদের স্বাধীনতাকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি, ঠিক তেমনি তাদের বংশধরেরাও আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব মানে না। অথচ ড. কামাল হোসেনদের মতো কিছু তথাকথিত স্বাধীনতার সপক্ষের লোক আজ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে কেবল ঐক্যই করেনি, তাদের ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য ধানের শীষ মার্কায় নমিনেশনও দিয়েছে।’ 
মেনন বলেন, দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের কেবল নির্বাচনেই নয়, দেশের সবকিছু থেকেই বয়কট করতে হবে। যেখানেই তারা ঐক্য করবে, সেখানেই তাদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের যারা সমর্থন দেবে, একই সঙ্গে তাদেরও বয়কট করতে হবে।

বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিণী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কণক কান্তি বড়ুয়া, বিএমএর মহাসচিব ইহতেশাম আলমগীর, সাবেক সভাপতি সোহরাব আলী, বিএমএর সদস্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ জাহিদ হোসেন, সদস্য মো. জাভেদ, পবিত্র দেবনাথ প্রমুখ।