Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ করার অপরাধে নোয়াখালীতে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মো. সবুজ (৩৫)। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি সবুজকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্মলাভকারী শিশুর তত্ত্বাবধান, পরিচিতি ও ভরণপোষণ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০–এর ১৩ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে বলে আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সবুজ। পরে বিয়ের প্রলোভনে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই ওই কিশোরী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় সবুজের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রায় ঘোষণার সময় সবুজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশীদ লাভলু।

প্রসঙ্গত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০–এর ১৩ ধারার বিধানটির বিশদ বিবরণ রয়েছে। সংক্ষেপে এর মূল কথা হলো, ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু সংশ্লিষ্ট নারী-পুরুষের পরিচয়ে পরিচিত হবে। আর ওই শিশুর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ভরণপোষণের অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করবে। যদি অভিযুক্ত তা দিতে অক্ষম হন, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে তা বকেয়া থাকবে। পরবর্তী সময়ে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো সম্পদের মালিক হন, তাহলে রাষ্ট্র সেখান থেকে তা উশুল করে নেবে।