Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালে আরও ৪ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১১৮

করোনাভাইরাস

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের ১২০ শয্যার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় আরও ১১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কোভিড-১৯ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সমন্বয়ক নিরুপম দাশ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে আর ১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তির জন্য আসছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই অবস্থা সংকটাপন্ন। অক্সিজেনের মাত্রাও অনেক কম থাকছে।

তিনি জানান, গত বছর একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১০ শতাংশের অক্সিজেন সুবিধা প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীকেই হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এরপরও অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে ৫২ রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত। আর বাকি ১৪ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর ৩টি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম। নতুন শনাক্ত হওয়া ১১৮ করোনা রোগীর মধ্যে ৪৮ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা। বাকি ব্যক্তিদের মধ্যে সুবর্ণচরের ২, হাতিয়ার ১, বেগমগঞ্জের ২৬, সোনাইমুড়ীর ২, চাটখিলের ৪, সেনবাগের ৩, কোম্পানীগঞ্জের ৮ ও কবিরহাট উপজেলার ১৫ জন রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, দুদিন ধরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি। এ ছাড়া আগে শনাক্ত হওয়া রোগীদের পরিবারের সদস্যরাও করোনা পরীক্ষা করছেন। তাঁদের অনেকেরই ফলাফল পজিটিভ আসছে।