Thank you for trying Sticky AMP!!

নৌযানে হঠাৎ কর্মবিরতি, পণ্য খালাস ব্যাহত

খোরাকি ভাতাসহ ১৫ দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে হঠাৎ নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকদের একাংশের একটি সংগঠন। সারা দেশে পণ্যবাহী নৌযানে এই কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলেও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকায় নৌযান থেকে আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

নৌযান শ্রমিকদের মূল সংগঠন ‘বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’ আগামী শুক্রবার রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। ১২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় সংগঠনটি। এই সংগঠনটি কর্মসূচি আহ্বানের পর হঠাৎ গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করে ‘নৌ শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ’ নামে নতুন একটি সংগঠন। ১০ নভেম্বর এই সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।

কর্মবিরতি আহ্বানকারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২৪ নভেম্বর লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন। কর্মসূচির সমর্থনে মাঝিরঘাটে পণ্য খালাস বন্ধের পাশাপাশি অনেক জায়গায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল। এই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, পণ্যবাহী নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে ৫০টি নৌযান।

নৌযান শ্রমিকদের মূল সংগঠন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী আলম প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকদের মূল সংগঠনের কর্মবিরতি কর্মসূচি বানচাল করতে মালিকদের সমর্থনপুষ্ট ঐক্য পরিষদ হঠাৎ কর্মবিরতি শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে নৌযান শ্রমিকেরা না থাকায় নৌযান চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে প্রথমে লাইটার জাহাজে বোঝাই করা হয়। এরপর লাইটার জাহাজে করে আমদানি পণ্য সারা দেশের নদীপথে পরিবহন করা হয়।