Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মায় তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত, দুই ঘাটে আটকে আছে যান

পদ্মার প্রবল স্রোতে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় উভয় ঘাটেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। ছবি: প্রথম আলো

পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা থেকে এখনো মানুষ ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ ছিল। অন্যদিকে পদ্মার প্রবল স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় উভয় ঘাটেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। ফলে এ নৌপথের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নৌপথে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানায়, ঈদের এক দিন আগে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের কয়েক শ ফুট এলাকা। একই সঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় পদ্মা সেতুর সংরক্ষিত এলাকা। ফেরি ও নৌযান চলতে গিয়ে স্রোতের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে পারে—এ জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। এরপর আজ রোববার ভোর থেকে সীমিত আকারে ৬টি ফেরি চলাচল শুরু করে এই নৌপথে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আজ সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল ঘাটের উভয় পাড়ে।

পদ্মার প্রবল স্রোতে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় উভয় ঘাটেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন-যাত্রী। ছবি: প্রথম আলো

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে মাসখানেক ধরে ঠিকমতো ফেরি চলানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় বন্ধই রাখা হয় ফেরি চলাচল। আমাদের এখন ৬টি ফেরি সীমিত আকারে যানবাহন লোড নিয়ে চলছে। ঈদের এক দিন আগে ও ঈদের দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তাই আজ (রোববার) সকাল থেকে উভয় ঘাটেই যানবাহনের চাপ ছিল। তবে বেশি যাত্রীর চাপ ছিল শিমুলিয়া ঘাটে।’

আজ বিকেল ছয়টায় কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদ শেষ হলেও ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় এখনো শুরু হয়নি। এখনো ঢাকা থেকে ফিরছে মানুষ। আরও এক দিন পরে হয়তো ঢাকামুখী হবে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ১০০টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। সকাল ও দুপুরে যানবাহনের চাপ আরও বেশি ছিল।’