Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মা সেতুতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই এখন সব ব্যস্ততা। প্রায় প্রতিদিনই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেতু এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে কার কী দায়িত্ব, তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সেতু এলাকা পরিদর্শনে যান।

সেখানে তাঁরা পরামর্শক ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে সেতুর নির্মাণকাজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। টুকটাক যেসব কাজ বাকি আছে, তা ১৫ জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন। এরপর তাঁরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উৎসুক মানুষের ঢল নামলে কীভাবে তা সামাল দেওয়া হবে—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

Also Read: পদ্মা সেতু ১৫ জুনের মধ্যে পুরো প্রস্তুত হবে

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাওয়ায় সুধী সমাবেশের স্থান, দুই প্রান্তের ম্যুরাল ও ফলক উন্মোচনের স্থানসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব স্থানে যাবেন, এর সব কটি ঘুরে দেখেন।

২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর দুই পারে তিনি নানা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচরে রাজনৈতিক সমাবেশে অংশ নেবেন।

সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনী নুষ্ঠানের দিন দুই পারে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন হলে দুই পারেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা পুনর্বাসন এলাকার পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্যবহার করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেতু বিভাগ ১৮টি উপকমিটি করেছে। এসব কমিটি প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছে। এর মধ্যে আমন্ত্রণ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় তিন হাজার অতিথির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য দাওয়াতপত্র তৈরির কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।