Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী দক্ষিণবঙ্গের বাসের ভাড়া বাড়ল

পদ্মা সেতুর সঙ্গে মহাসড়কের টোল যুক্ত হওয়ায় এ পথে যাতায়াতকারী সব বাসের ভাড়া বেড়েছে

পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল যুক্ত করে এই নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এ রুটে চলাচলকারী সব বাসেই গত ৮ জুন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া হয়েছে।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা (১ জুলাই) থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিআরটিএ গতকাল নতুন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করে। সে অনুসারে, ঢাকার সায়েদাবাদ দিয়ে মাওয়া, ভাঙ্গা ও মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। ৪০ সিটের বাসে আসনপ্রতি এ পথের ভাড়া ৪৫৪ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে আসনপ্রতি ভাড়া ৩৫৬ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে গোপালগঞ্জের দূরত্ব ১৪৫ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার। এ পথে চলাচলকারী ৪০ সিটের বাসের ভাড়া ৪২৩ টাকা আর ৫১ সিটের বাসের ভাড়া ৩৩২ টাকা।

গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ২০৭ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪০ সিটের বাসে ৫৭৫ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ৪৫৬ টাকা।

ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ২৫৭ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ২১১ টাকা। বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু, মাওয়া ও জাজিরা হয়ে শরীয়তপুরে যাওয়ার আরেকটি পথ আছে। এ পথের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ২৫৭ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ২০১ টাকা।

মাওয়া, ভাঙ্গা ও বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের দূরত্ব ২০৬ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৫৮০ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ৪৫৫ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট হয়েও পিরোজপুরের একটি রুট আছে। এ পথের দূরত্ব ২২৭ কিলোমিটার। এ রুটের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৬১৯ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ৪৮৬ টাকা।

Also Read: প্রথম দিনে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ে ধীরগতি, যানবাহনের দীর্ঘ জট

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ও বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার। এ রুটের ভাড়া ৪০ সিটে ৫৬১ টাকা, আর ৫১ সিটে ৪৪০ টাকা। মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে মাদারীপুরের দূরত্ব ১১১ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৩৪৪ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ২৭০ টাকা।

মাওয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও খুলনা হয়ে সাতক্ষীরার দূরত্ব ২৫৭ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৬৮৯ টাকা,আর ৫১ সিটের বাসে ৫৪১ টাকা। মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে ফরিদপুরের দূরত্ব ১০২ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৩২৩ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ২৫৩ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী হয়ে পর্যটন শহর কুয়াকাটার দূরত্ব ২৭৬ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৭৬৭ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ৬০১ টাকা।

পরিবহনমালিক ও বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, ৮ জুন বিআরটিএ পদ্মা সেতু হয়ে আগে থেকেই চলাচলকারী বাসের পুরোনো ভাড়ার সঙ্গে সেতুর টোল যুক্ত করে নতুন ভাড়ার হার ঠিক করে। নতুন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল যুক্ত হওয়ায় সব রুটেই ভাড়া বেড়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্ধারণ করা দূরত্বের তালিকা ধরে বিআরটিএ বাসের ভাড়া ঠিক করে। বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারে প্রত্যেক যাত্রীর ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সা। বিআরটিএ সূত্র জানায়, বর্তমানে মাওয়া হয়ে ১৩টি রুটে বাস চলাচলের অনুমতি আছে। ভবিষ্যতে আরও কোনো নতুন রুটে কেউ বাস নামালে এর জন্য নতুন ভাড়ার হার ঠিক করা হবে।