Thank you for trying Sticky AMP!!

পবিত্র শবে বরাত পালিত

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র শবে বরাতের রাতে নামাজ ও ইবাদত বন্দেগি শেষে মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা ষ প্রথম আলো

রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার ও নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে গত সোমবার রাতে পালিত হয়েছে সৌভাগ্যের রাত পবিত্র শবে বরাত। 
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজ নিজ অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে সবিনয়ে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি পার্থিব জীবনে আল্লাহর আনুকূল্য কামনা ও বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন।
শবে বরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ রাজধানী ঢাকার পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হন। সারা দেশেই মসজিদে ইবাদতের পাশাপাশি এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব বর্ণনা করে আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন। এবারও আজিমপুর কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, মিরপুর ১০ নম্বর কবরস্থান, বনানী কবরস্থানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দল বেঁধে প্রার্থনা করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে অনেকের ঘরেই সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার, মুখরোচক হালুয়া, রুটি, পায়েস তৈরি হয়। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিলি করা হয়। পুরান ঢাকায় ঐতিহ্য অনুযায়ী বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করা হয়। সেখানকার বিভিন্ন দোকান ও রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী দোকানে নানা আকৃতির রুটি বিক্রি হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে ছিল কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত পাঠ ও ওয়াজ মাহফিল। রাত ১১টায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করে খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। এরপর রাতভর ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজগার শেষে ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাত করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র শবে বরাত পালনের জন্য এবারও ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আতশবাজি, পটকাসহ অন্যান্য বিস্ফোরকদ্রব্য ফোটানো নিষিদ্ধ করে মাইকিং করা হয়। তবে পুরান ঢাকা ও মিরপুরের অনেক এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত পটকা ফোটানো হয়েছে।