Thank you for trying Sticky AMP!!

পবিত্র হজ শুরু, আরাফাত ময়দানে ২০ লাখের বেশি মুসল্লি

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ। ছবি: রয়টার্স

লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক—লাখো কণ্ঠে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার শুরু হয়েছে পবিত্র হজ। সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আরাফাত ময়দানে লাখ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছেন। তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্‌ক, লা শারিকা লাক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের সময় তিন ঘণ্টা পিছিয়ে। আজ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে মসজিদে নামিরায় খুতবা পাঠ করা হবে। খুতবার পর জোহরের নামাজ ও আসরের নামাজ পড়ানো হবে এই মসজিদে। মুসল্লিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাত ময়দানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ৭০টি পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

হজের দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলা হলেও এখন সেখানে কোনো বৃষ্টি নেই। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মৃদু বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে প্রচণ্ড গরম কিছুটা কমে গেলে হাজিরা স্বস্তি পান। তবে আজ সেখানে রোদ আবার তেতে উঠেছে।

পবিত্র হজ পালন করতে গত শনিবার পর্যন্ত বিশ্বের ১৭২টি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মিনায় পৌঁছান। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এবার হজ পালন করছেন।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর এসেছেন ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মুসল্লি।

মূলত, ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করা হয়। আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ। পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সমর্থ ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ। এবার যাঁরা হজে এসেছেন, তাঁরা সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন। দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। বলা হয়ে থাকে, এই পাহাড়ে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর দেখা হয়েছিল। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন।