Thank you for trying Sticky AMP!!

পশুর বর্জ্য অপসারণ চলছে

কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের চৈতন্য গলি থেকে তোলা। ছবি: জুয়েল শীল

কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে আজ সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরের মূল সড়ক ও অলিগলি থেকে বর্জ্য সরিয়ে নিচ্ছেন করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বর্জ্য অপসারণে করপোরেশনের ৩ হাজার ৭০০ শ্রমিক কাজ করছেন।

করপোরেশন সূত্র জানায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরের ৪১টি ওয়ার্ডকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। চারজন কাউন্সিলর এই কাজ তদারকি করছেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের চৈতন্য গলিতে সরেজমিনে দেখা যায়, মুসল্লিরা নামাজ শেষে বাড়ির সামনে ও রাস্তার ওপর গরু-ছাগল কোরবানি দেন। গরু-ছাগলের নাড়িভুঁড়ি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়। পরে করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভ্যান ও টমটমে করে তা ডাস্টবিনে রেখে আসেন। ওখান থেকে এসব বর্জ্য ট্রাকে করে করপোরেশনের বর্জ্যাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নগরের এম এম আলী সড়কে দেখা যায়, বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ভবনের সামনের সড়কে পশু জবাই দেন। ভবনের পানির পাইপ দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে দেন বাসিন্দারা। আর নাড়িভুঁড়ি ডাস্টবিনে ফেলে দেন।

এম এম আলী সড়কের একটি বহুতল ভবনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্ধারিত স্থানে গরু নিয়ে যাওয়া এবং আবার জবাই করার পর এর মাংস বাসায় নিয়ে আসা—এতে কিছুটা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই বাসার সামনে কোরবানি দিয়ে দেন। নিজেরাই ওই স্থান পরিষ্কার করে দিচ্ছেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নগরের প্রায় সাড়ে তিন শ জায়গা কোরবানির জন্য নির্ধারণ করে দেয় সিটি করপোরেশন। তবে এসব স্থানে কোরবানি দিতে নগরবাসীর তেমন সাড়া মেলেনি। তার চেয়ে মানুষ নিজেদের বাসাবাড়ি বা সামনের সড়কে পশু কোরবানি দিয়েছেন।

নগরের আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, জামালখান, আসকারদীঘি, কাজীর দেউড়ি, ব্যাটারি গলি, মেহেদীবাগ, এম এম আলী রোড, হিলভিউ আবাসিক এলাকা, বেবি সুপার মার্কেট ও বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়।

করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেহেদীবাগের মো. আলাউদ্দিন।

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ২৮২টি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব গাড়ি সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে নির্ধারিত ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মূল সড়ক ও অলিগলি থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শতভাগ বর্জ্য অপসারণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ চলবে।

করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম বলেন, এবার নগরে প্রায় ২ লাখ গরু ও ৫০ হাজার ছাগল কোরবানি দেওয়া হতে পারে। স্বাভাবিক সময়ে নগর থেকে আড়াই হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হলেও ঈদুল আজহায় এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ছয় হাজার টনে। তবে বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরের প্রধান ও মূল সড়ক থেকে পশুর বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া হবে। আর রাত ১২টার মধ্যে অলিগলির বর্জ্যও সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।