Thank you for trying Sticky AMP!!

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি চলাচল বন্ধ

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে সব ধরনের ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার বন্ধে আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে ফেরি কর্তৃপক্ষ।

পাটুরিয়া ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চের সাধারণ ছুটি থেকে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবার যে যেখানে অবস্থান করছেন, তাঁকে সেখানেই থাকতে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এরপরও গত কয়েক দিন থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মানুষ। ঈদ উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে দল বেঁধে মানুষ পাটুরিয়া ঘাট হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া শুরু করেন। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে যে যেভাবে পারেন, পাটুরিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি যেতে থাকেন। এতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ছাড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়িতে মানুষ পাটুরিয়া আসেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল রোববার রাত ১১টা থেকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি পারাপার বন্ধ রাখা হয়। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার সচল রাখতে চার-পাঁচটি ফেরি চালু রাখা হয়। এসব ফেরিতেও মানুষ হুড়মুড় করে উঠে নদী পার হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে করোনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় অনেকে উল্টো পথে চলে যাচ্ছেন। পণ্যবাহী গাড়িগুলো ঘাটে আটকা পড়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল বন্ধে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গোলড়া এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবহনকারী যানবাহন ছাড়া কোনো গাড়ি পাটুরিয়ার দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরপরও অনেকে ছোট ছোট যানে পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় পাটুরিয়ায় ফেরি কর্তৃপক্ষকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়।