Thank you for trying Sticky AMP!!

পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার রায় আজ

শামীমা নূর পাপিয়া

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর পাপিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ। তার আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

মামলার অপর আসামি পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আগেই শেষ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ২৩ আগস্ট পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম ও ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল,২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, এটিএম কার্ড প্রভৃতি উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট, ২ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ, নরসিংদী জেলায় কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।

এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে র‍্যাব।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে।

পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।