Thank you for trying Sticky AMP!!

পাবনায় আরও ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত

পাবনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধ, বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার—এই তিন দিনে নতুন করে আরও ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ৯ উপজেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮৬। শনাক্ত বিবেচনায় জেলা সদর শীর্ষে রয়েছে।

রাজশাহী পিসিআর ল্যাবে আজ সন্ধ্যার ফলাফলে সর্বশেষ ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে বুধবার ১০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জন এবং বৃহস্পতিবার আরও ১০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোট সংক্রমিতের মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় তিন দিনে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা সদরেই ৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে ২ জন, সাঁথিয়ায় ৩ জন, সুজানগরে ২ জন, ভাঙ্গুড়ায় ২ জন ও আটঘরিয়ায় ১ জন শনাক্ত হয়েছেন। মোট শনাক্তের মধ্যে ১৫৬ জন রোগী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে জেলার সদর উপজেলা। অন্যগুলোর মধ্যে ঈশ্বরদীতে ১৮ জন, সুজানগরে ৩৬ জন, আটঘরিয়ায় ১২ জন, ভাঙ্গুড়ায় ১৪ জন, চাটমোহরে ৮ জন, সাঁথিয়ায় ১৯ জন, ফরিদপুরে ৪ ও বেড়ায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, গৃহিণী ও শিশু রয়েছে। নতুন করে আরও সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলার ৯ উপজেলাকে ‘রেড’, ‘ইয়েলো’ ও ‘গ্রিন’—এই তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদর ও সুজানগর উপজেলাকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলা দুটির অধিক সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় কিছু এলাকা লকডাউন করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শনাক্ত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, শনাক্ত ব্যক্তিদের অনেকের শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ও অন্যদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত দেড় মাসে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। জুন মাসে মাত্র ১৯ দিনে এ সংখ্যা ২৮৬তে পৌঁছেছে। করোনায় এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন।