Thank you for trying Sticky AMP!!

পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ব্যয়ের তুলনায় ফলাফল খুবই সামান্য

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে এ পর্যন্ত কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ফলাফল ও অর্জন খুবই সামান্য। এ জন্য এখন এ অঞ্চলে যেকোনো প্রকল্প ভালোমন্দ দিক খতিয়ে দেখে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে।
বান্দরবানে গতকাল রোববার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবিকা উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তি (এনার্জি) প্রকল্পের এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেছেন। দেশের সবচেয়ে অনগ্রসর ও দুর্গম থানচি উপজেলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, এনজিও ফোরামসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম রিজওয়ান খান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
যুক্তরাজ্যের রিনিউয়্যাবল ওয়ার্ল্ডের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নিক ভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের খরস্রোতা নদী, খাল ও ঝরনার জলস্রোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র পরিসরে শক্তি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এ বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে সেখানকার উৎপাদিত ফসল প্রক্রিয়াজাত করে বিপণন করা যাবে। এতে পানির সংকট দূর করা যাবে এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্যমান বেড়ে গিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের দারিদ্র৵সীমার নিচে বসবাসকারী ৬২ শতাংশ পরিবারের জীবিকা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
সেমিনারে পার্বত্য অঞ্চলের পানির সংকট, নিরাপদ শৌচাগার ব্যবহার, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ নারীদের দুর্গম পথ অতিক্রম করে একবার পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই-আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় হয়ে থাকে। এত বেশি সময় লাগে বলে শিশুদের এ কাজে নিয়োজিত করা হয় এবং এ জন্য অনেক শিশু বিদ্যালয়ে ঠিকমতো যেতে পারে না।