Thank you for trying Sticky AMP!!

পাহাড়ে দুই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী

জন্তিকা চাকমা ,সেতারা বেগম

বান্দরবান ও রাঙামাটির দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন নারী প্রার্থী। তাঁরা দুজন হলেন বান্দরবানের লামা উপজেলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সেতারা বেগম ও রাঙামাটির নানিয়ারচরে স্বতন্ত্র জন্তিনা চাকমা। তাঁরা দুজনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বান্দরবানে ৭টি উপজেলায় ২০ জন ও রাঙামাটিতে ১০টি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এর মধ্যে লামা উপজেলায় তিনজন ও রাঙামাটির নানিয়ারচরে চারজন প্রার্থী।

লামা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী সেতারা বেগম আগে নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার লাঙ্গল প্রতীকে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামান ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) আবু তাহের।

সেতারা বেগম বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে জয় অথবা পরাজয়ে কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, লামায় বর্তমানে বড় সমস্যা মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিবিরোধজনিত মামলার জট। এ তিনটি বিষয়ে তিনি শক্ত অবস্থান নিয়ে কাজ করবেন। লামার মানুষও তাঁর পক্ষে রয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান থাকার সময় সব সময় মানুষের সুখে-দুঃখে সঙ্গে ছিলেন।

রাঙামাটির একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী নানিয়ারচর উপজেলার জন্তিনা চাকমার প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের দুই প্রার্থী। এর মধ্যে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) জ্ঞানরঞ্জন চাকমা, জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা দলের প্রগতি রঞ্জন চাকমা (বর্তমান পদে) ও স্বতন্ত্র পঞ্চানন চাকমা।

জন্তিনা চাকমা বলেন, মানুষ দলের চেয়ারম্যান অনেক দেখেছে। তাঁরা কী করেছেন তা–ও জানে। এ জন্য নিরপেক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে মানুষ ভোট দিতে চায়। মানুষের অনুরোধে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাঁর নিশ্চিত বিজয় হবে। এ জন্য কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে নানিয়ারচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।  

পেশায় কৃষি খামারি জন্তিনা চাকমা আরও বলেন, তিনি অনেক কষ্টে এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। স্বামীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক। দুজনে নিজেদের কায়িক শ্রমে ভূঁইয়ো আদামে উদ্যান বাগান, গরু ও ছাগলের খামার করেছেন। এ জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে প্রথম অগ্রাধিকার হবে কৃষি ও শিক্ষা উন্নয়ন। এ দুই খাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।