Thank you for trying Sticky AMP!!

পিরোজপুরে ডায়রিয়া-শ্বাসকষ্টে কোয়ারেন্টিনে থাকা নারীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। তিনি ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কিনা জানতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে ওই বৃদ্ধা নাজিরপুর উপজেলার এক গ্রামে তাঁর বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। সম্প্রতি তাঁর বোনের মেয়ে ঢাকা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। ঢাকা থেকে গ্রামে আসায় গত বুধবার ওই মেয়ের (বৃদ্ধার বোনের মেয়ে) নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে জানানো হয়, মেয়েটি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। ওই রাতেই স্থানীয় প্রশাসন মেয়েটির বাবার বাড়ি লকডাউন করে দেয়। মেয়েটিকে হোম আইসোলেশনে রেখে বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওই বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বৃদ্ধা গতকাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে চিকিৎসকেরা ওই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধাকে ওষুধ দেন। বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এরপর তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। সন্ধ্যায় বাড়িতেই তিনি মারা যান।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সব্যসাচী মজুমদার বলেন, ওই নারী ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কিনা জানতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই বাড়িতে থাকা এক মাস ১৮ দিন বয়সী এক শিশুসহ আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য বরিশালে পাঠানো হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফজলে বারী বলেন, বৃদ্ধা যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে একজন কোভিড–১৯ রোগী আছেন। তিনি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ কারণে বিশেষ নিয়ম মেনে মৃত নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১৩ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ১১ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৮ জন, ইন্দুরকানি উপজেলায় ৩ জন, নেছারাবাদ উপজেলা ৩ জন, কাউখালী উপজেলায় একজন ও নাজিরপুর উপজেলায় একজন। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় একজন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৪ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় একজন সুস্থ হয়েছেন।