Thank you for trying Sticky AMP!!

পুলিশ দেখে দৌড় দিলেন প্রবাসী

প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন গত মঙ্গলবার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিজ ঘরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা তাঁর। কিন্তু এসবের কিছুই মানছিলেন না তিনি। উঠোনে ঘুরছিলেন তিনি। হঠাৎ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে গেছেন। এ কারণে তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে আজ শনিবার সিলেটের গোলাপগঞ্জের রনকেলি গ্রামে।

আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সিলেটের গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকায় এবং সরকারি নির্দেশনা না মানায় তিনি তিনজন প্রবাসীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আজ বেলা ১১টায় রনকেলি এলাকার ওই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাড়ির উঠোনে ছিলেন। ইউএনও এবং পুলিশ দেখে উঠোন থেকে দৌড়ে চলে যান পাশের জঙ্গলের দিকে। পুলিশও প্রবাসীর পেছনে দৌড় দিয়ে তাঁকে ধরে ফেলে। পরে তাঁকে বুঝিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও মামুনুর রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলার দাড়িপাতন এলাকায় একই বাড়ির ১১ জন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গত বুধবার দেশে ফেরেন। তাঁরা সবাই হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মেনে একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন এবং ঘোরাফেরা করছিলেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন অভিযোগ পেয়ে আজ শনিবার অভিযান চালিয়ে ১১ জনের মধ্যে একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলার লামার দক্ষিণভাগ গ্রামে যুক্তরাজ্যফেরত এক প্রবাসী বাড়ি ফেরেন গত বুধবার। অনেক দিন পর বাড়ি ফেরায় আত্মীয়স্বজনসহ পাড়া–প্রতিবেশী তাঁকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন। কিন্তু তাঁর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল। এ সময়ের মধ্যে কারও সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেই তাঁর। এসবের কিছুই তিনি মানছিলেন না। আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাঁকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ইউএনও মামুনুর রহমান বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা না মানায় গোলাপগঞ্জে তিন প্রবাসীকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে পরিবারের অন্য সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মামুনুর রহমান আরও বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সতর্কতার বিকল্প নেই। আমরা বিদেশফেরতদের তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। তাঁরা ঠিকমতো ঘরে থাকছেন কি না, সেগুলো তত্ত্বাবধান করছি। এসবের ব্যত্যয় হলে তাঁদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করছি’।