Thank you for trying Sticky AMP!!

পুড়ে মারা গেল ১৪৩টি ছাগল

এক বছর আগে আত্মীয়ের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নিয়ে ছাগলের খামার করেছিলেন জামাল হোসেন। তাঁর খামারে প্রায় ১৪৫টি দেশি ছাগল ছিল। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডে ১৪৩টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের ভাউড়িরচর গ্রামে।

ওই গ্রামের খামার মালিক জামাল হোসেনের ভাই কামাল হোসেন বলেন, রোববার সন্ধ্যায় খামারের একটি ছাগল দুটি বাচ্চা প্রসব করে। শীতের তীব্রতায় একটি বাচ্চা মারা যায়। অন্য বাচ্চাটি বাঁচাতে খামারের চারপাশে কাপড় ও চট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাপের জন্য ২০০ ওয়াটের একটি বিদ্যুতের বাল্ব নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। মাত্র দুটি ছাগল প্রাণে বেঁচে গেলেও বাকি সবগুলো আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেশী কয়েকজন জানান, গভীর রাতে খামারে আগুন লাগে। এলাকার লোকজন রাতে ওই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। আধা ঘণ্টা পর আগুন নেভানো সম্ভব হলেও ততক্ষণে সব ছাগল পুড়ে মারা যায়।

গ্রামবাসী জানান, কালিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। জেলা শহর থেকে কালিয়া উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। উপজেলার কোথাও আগুন লাগলে জেলা শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তাপস কুমার ঘোষ বলেন, ‘খামারি জামাল হোসেন সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমরাও সব সময় তাকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আগুন ধরার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মারুফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেন অনেক আশা নিয়ে ছাগলের খামার করেছিলেন। তার আরও দুটি খামার রয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।